এইবারের সংলাপে যদি কোন সমাধান না আসে, তাহলে আঙ্গুলের বাঁকা করা হবে হুশিয়ারী দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। শেখ হাসিনাকে এখননি ক্ষমতা ছাড়তে হবে। নির্বাচনটাকেও ভোজন করেছে এই অবৈধ সরকার। যদি খালেদা জিয়া মুক্তি না দিলে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাতটি বিন্দু দাবি গ্রহণ না করে তবে শেখ হাসিনাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের (06 নভেম্বর) বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি প্যারোলে কেন হবে, তাকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোন ধরণের নির্বাচন হবে না,তারা বলেন সংলাপ চলবে এবং খালেদা জিয়ার আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।
জনসভায় তারা আরও বলেন যে দুর্নীতি, লুটপাট, অনিরাপদতা, অস্থিরতা, সন্ত্রাসবাদ, আইন ও বিচারের অভাবে,আজ মানুষউদ্বিগ্ন, অস্থির এবং হতাশ। জনগণের ভোটাধিকার লুটপাট করে তারা। সরকার ক্ষমতায় বসার শক্তি প্রয়োগ করেছে জনপ্রতিনিধিত্বহীন লোকদর নিয়ে।
ফলে দেশের কোন গণতন্ত্র নেই। দুর্নীতি ও লুটপাট করে ক্ষমতাসীনরা দেশের সম্পদ ভোগ করছে ও সম্পদ দেশের বাহিরে পাচার করছে।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, শুধু লুট এবং চারপাশে খাওয়া। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে লুট করা হয়েছে। এই অবৈধ সরকারও ভোজন করেছে। শেখ হাসিনাকে এই দাবি মেনে নিতে হবে, না হলে অন্যের পরিণতি ভোগ করা কঠিন হবে।
সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠুও নিরপেক্ষ নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির ব্যবস্থা এবং সাত দফা দাবি বাস্বায়নের পক্ষে আজকের সমাবেশ আয়োজন করা হয়।