বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস আজ মানুষের জীবন মহাসংকটে ফেলে দিয়েছে। মরণ ঘাতক করোনা ভাইরাস এক আতংকের নাম। বিশেষ করে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা। বর্তমান সরকারের সঠিক সময়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জনসমাগম বন্ধ করে সকলকে ঘরের মধ্যে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। যারা খেটে খাওয়া মানুষ দিন মজুর আজ তারা খুব চিন্তায় কি করে সংসার চলবে। এই খেটে খাওয়া ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার (o৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সামনে ঢাকা শহরে পাড়া মহল্লার ছিন্নমূল কর্মহীন ৫০০ টি অসহায় মানুষের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী চাল ২০ কেজি, ডাল, তেল, লবন, সাবান, আলু বিতরন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জনাব জসিম উদ্দিন হায়দার লিপু সদস্য ঢাকা অফিসার্স ক্লাব ৷
সদস্য জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন,লকডাউন সময় বাড়ছে। দৈনিক আয়ের পরিবারগুলোতে আর্তনাদ বইছে। নীরব সে ডাক! কেউ শুনছে,কেউ এড়িয়ে। এমন দিন আসবে এরা ভাবেননি! দুর্যোগ কবে যাবে, আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে! সে আশাও আশু পূরণ হবার নয়। অবস্থা বলছে, দুর্যোগ বাড়বে! সবমিলে দিশেহারা দৈনিক আয়ের এ শ্রেণী। ধার বা সাহায্য! চাইতেও পারছে না। মন বললেও মুখ খুলছে না। প্রবল আত্মসম্মান!
ঢাকা শহরের একটা বড় গোষ্ঠী এমন।অফিসার্স ক্লাব কেন্দ্রিক প্রায় পাঁচশত পরিবার বাছাই করেছি। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর পক্ষ থেকে আজ ফুড ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন ,বিশ্বের মানুষ আজ মহাসংকটে, তাই আমরা ক্ষুদ্র প্রয়াসে ছিন্নমূল কর্মহীন অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ এই মহাসংকটে আপনারাও মানুষের পাশে দাঁড়ান। যতদিন পর্যন্ত করোনা দুর্যোগ শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি। সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এ সেবা দিয়ে যাচ্ছি, অব্যাহত থাকবেন বলে জানান তিনি।
সময় এমন থাকবে না৷ এদের পাশে দাঁড়ানোর সময় এখনই
অনেক দিন-মজুর খাদ্য সামগ্রী হাতে পেয়ে আনন্দে আত্যহারা হয়ে কেঁদে ফেলেছেন। তেমনি এক বৃদ্ধ তিনি বলেন আমরা যারা দিন-মজুর কাজ কর্ম করে খাই তাদেরকে এই মুহুর্তে সাহায্য করা বড়লোকদের দায়িত্ব। জসিম স্যারের মতো এইভাবে আমরা যদি সকলের কাছ থেকে সাহায্য পাই তাহলে না খেয়ে আরা মরব না। আমরা আজ জসিম স্যার ও অফিসার্স ক্লাবের সদস্যদের জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহর কাছে। আল্লাহ যেন, তাদের এই মহৎ উদ্যেগকে কবুল করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর সদস্য বিন্ধ ও কর্মকর্তারা।