বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়ার নামে তামাশা করছে প্রজাপতি ও পরিস্থান পরিবহন।
আসাদগেট থেকে বাঙলা কলেজ সর্বোচ্চ ৩ কিলোমিটার রাস্তা।
বিআরটিএ, এর হিসাব অনুযায়ী ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১.৭০ টাকা।
সে হিসাবে ১.৭০*৩=৫.২১টাকা।
যেকোন গাড়িতে পাঁচ টাকা ভাড়া নিলেও প্রজাপতি এবং পরিস্থান পরিবহনের সিস্টেম অনুযায়ী এখানে ২ টি ওয়েবিল। যারমানে প্রতি ওয়েবিলে ১০ টাকা করে ভাড়ার হিসাব অনুযায়ী ভাড়া ২০ টাকা।
বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী বল্লে ১০ টাকা ভাড়া বাদ দিয়ে ১০ টাকা নেয়। যদিও উত্তরার যাত্রীদের হিসাব এই ওয়েবিলে ধরা হয়না।
এরপরে উত্তরা থেকে আসার সময় উত্তরা থেকে কলেজগেট বাস ভাড়া ত্রিশ টাকা।
এর মাঝে টোলার বাগে একটা ওয়েবিল আছে যেটা উত্তরা যাত্রীদের কেটে দেওয়া হয়। ঠিক এই ওয়েবিলটিই নামে মাত্র কাটে বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে।
অর্থাৎ টেকনিক্যাল ও টোলারবাগ এই ওয়েবিল দুইটি প্রজাপতি ও পরিস্থান পরিবহনের সকল যাত্রীদেরকেই কেটে দেয় আর এই ওয়েবিল দুটোই নাম মাত্র কাটে বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীদের। আপনি যদি উত্তরা থেকে আসেন তাহলে কলেজেগেট পর্যন্ত আপনাকে ৩০ টাকা ভাড়া গুনতে হবে।
আর বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী হলেও কলেজের সামনে নামলে ও আপনাকে টোলারবাগ ওয়েবিল কেটে দিবে ৪০ টাকা ভাড়া বানিয়ে ১০ টাকা ছাড় দিয়ে। তারমানে আপনাকে বাঙলা কলেজের পরিচয় দিলেও উত্তরা থেকে আসলে ৩০ টাকা ভাড়া গুনতে হবে। আর সাধারণ যাত্রীদের ভাড়া ও ত্রিশ টাকা।
বাঙলা কলেজের একাদিক শিক্ষার্থী জানান, হাফ পাশ তো নেয়’ই না বরং খারাপ আরণ করে এই বাস দুইটি৷ আর আপনি মেয়ে হলে তো কোন কথাই নাই।
এদিকে বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ ভুইয়া বলেন, ঢাকা শহরে পরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া না নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও একাদিকবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীর নির্দেশের পরেও কমছে না শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন কি উন্নত বিশ্বেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফপাশ নেওয়ার প্রচলণ রয়েছ।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেমন আছে; তেমনি আছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন কিংবা নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে। শুধু তাই নয়, মাল্টা-মরিশাসসহ আফ্রিকা-ইউরোপের অনেক দেশেই চালু রয়েছে শিক্ষার্থীবান্ধব এই প্রথা। সমস্যা শুধু বাংলাদেশে।
শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাফ ভাড়ার রেওয়াজ বাংলাদেশেও ছিল, তবে এর প্রয়োগ দিন দিন কমছে। বিষয়টা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, হাফ ভাড়ার কথা বললে অনেক ক্ষেত্রেই নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।