জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা দেখছেন প্রভাষকের শ্যালিকা! তালায় (সাতক্ষীরা) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বিষয়ের পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। বুধবার দুপুরে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের চোখে পড়ে।
পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, তালা উপজেলার কুমিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আদিত্য ব্যানার্জির নামে আসা ওই খাতা তিনি তার শ্যালিকা একই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সোমা মহলদারকে দিয়ে দেখাচ্ছিলেন। সোমা মহালদার খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাটিপাড়া গ্রামের শংকর মহলদারের কন্যা। তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বেঞ্চে বসে সেই খাতাগুলো দেখছিলেন।
এ সময় সোমা মহলদার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তার দুলাভাই শিক্ষক আদিত্য ব্যানার্জী তাকে ৫০টি খাতা দেখে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। তাই তিনি খাতাগুলো দেখে দিচ্ছেন। তবে নিজের নামে আসা খাতা শালিকাকে দিয়ে দেখানোর বিষয়টি অস্বীকার করে আদিত্য ব্যানার্জি বলেন, আমি চোখে কম দেখার কারণে বৃত্ত ভরাটের জন্য খাতাগুলো শ্যালিকা সোমা মহালদারের কাছে দিয়েছি।
আপনার কাছে কতগুলো খাতা রয়েছে এমন প্রশ্নে ওই ছাত্রী বলেন, আমার কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ের ৫০টি খাতা রয়েছে। এরপর তিনি রুমে গিয়ে বাকিখাতা বের করে দেখান। খাতায় দেখা যায় ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের ১ আগস্ট। কলেজ ছুটির দিন থাকায় ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুনআরা জামান বলেন, কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হবে। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন বালেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, কলেজের ইংরেজী বিষয়ের প্রভাষক আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান।