প্রশ্নপত্র ফাসের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উত্তীর্ণ ১৮ হাজার ৪শ’ ৬৩ জনের মধ্যে পরীক্ষায় নেয়া হবে যারা আগের পরীক্ষায় পাস করেছিল।
আজ মঙ্গলবার ডিনস কমিটির বৈঠকে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এ সিদ্ধান্ত দেন। পরীক্ষার তারিখ দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে, এর আগে রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে ‘ডি’ ইউনিট পরীক্ষার পুনর্বিবেচনার দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেন।
এদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, “মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মনের ভেতর ইচ্ছা লালন করে পরিশ্রম করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তাহলে সেটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। আমরা চাই পরীক্ষাটি পুনর্বিবেচনা করা হোক। আমরা পরীক্ষাটি সংশোধন করতে চাই।
১২ অক্টোবর সকাল ১০ টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার শুরু হওয়ার ৪৩ মিনিট আগে, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার এবং অন্যদের ভর্তির হাতে ৭২ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সঙ্গে ঠিক মেলে যায়। এ প্রসঙ্গে প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। জালিয়াতির অভিযোগে প্রশাসন পাঁচজনকে আটক করেছে। ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত প্রকাশনার ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আবার ফলাফল প্রকাশ করে।