বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তিনি প্রতিদিনই বক্তৃতায় বলছেন, এই সরকার জুয়ারিদের সরকার। এই সরকার বাংলাদেশকে ক্যাসিনো রাজ্য বানিয়েছেন। তিনি এক বক্তৃতায় বলেছেন, একসময় ঢাকা ছিল মসজিদের শহর, এখন পরিণত করা হয়েছে ক্যাসিনো শহরে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তৃতার সূত্র ধরে দ্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুসন্ধান করে। বেসামরিক বিমান এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ফাইলপত্র ঘেটে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০০১-০৬ সালে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনিই প্রথম বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালু করার জন্য একটি নোট ইস্যু করেছিলেন।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর স্মারক- নং- ই বি প্রো ২০০২- ১০-১০৯ শীর্ষক স্মারকে একটি প্রস্তাব দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই প্রস্তাবে তিনি বলেন যে, বাংলাদেশে পর্যটনকে আকৃষ্ট এবং বিকাশের জন্য ক্যাসিনো চালু করা উচিত। ক্যাসিনোকে বৈধতা দেওয়া উচিত।
তিনি এ সংক্রান্ত ১৮৭১ সালের আইন পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেন। নথিতে দেখা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঐ নোটে বলেছিলেন যে, এই আইনটি মানদাত্তার আমলের। এই আইনটি অত্যন্ত পুরনো। এই আইনটি পরিবর্তন করা হোক। বাংলাদেশে যদি ক্যাসিনো চালু করা হয় তাহলে রাষ্ট্রের উপার্জন হবে এবং পর্যটকরা আকৃষ্ট হবে।
জানা গেছে যে, তারেক জিয়ার মৌখিক অনুরোধেই তিনি এই ক্যাসিনো বাণিজ্য উম্মুক্ত করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এই প্রস্তাবটিকে স্পর্শকাতর এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বিবেচনায় নাকচ করে দিয়েছিলেন।