শিক্ষা বান্ধব ও উন্নয়নমুখী বাজেট প্রণয়ণ করায় সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির বাজেট ২০১৯-২০ কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ।
শনিবার সকাল ১১টায় কলেজ প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে মহাখালীর প্রধান সড়ক পর্যন্ত পদক্ষিণ করে পুনরায় কলেজ প্রাঙ্গনে এসে আনন্দ মিছিল সমাপ্ত হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিপন মিয়া বলেন, ‘এ বাজেট দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট। এই বাজেট শিক্ষা বান্ধব, প্রযুক্তি বান্ধব ও কৃষি বান্ধব। বাজেটে শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রেখেছে। তাই আমরা তরুণ প্রজন্ম দেশরতœ শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উপস্থাপিত বাজেটকে সাধুবাদ জানাই।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একের পর এক উন্নয়নমুখী বাজেট দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সবচেয়ে বড় বাজেট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনবান্ধব, শিক্ষা ও কৃষিবান্ধব এ বাজেটকে আমরা স্বাগত জানাই। এই বাজেট বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ পাশে থাকবে।’
উল্লেখ্য গত ১৩ই জুন বিকেল ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই বাজেট উত্থাপন শুরু হয়।
বাজেট উত্থাপন শেষ হয় পৌনে ৫টার দিকে। অসুস্থতা নিয়েই জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করার কিছুক্ষণ পর অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাজেট উত্থাপনের অনুরোধ জানান। পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাজেট উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি। এবারের বাজেট দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।