স্বাধীনতার পরবর্তীতে খুব কম নেতাই নিজের গুনে গুণান্বিত হয়ে কর্মীদের মনে স্থান করতে পেরেছে।রাজ্য নীতির নীতি নির্ধারকরাই রাজনীতিবীদ হয়।কিন্তু কর্মীদের ভালোবাসা পেয়ে রাজনীতিবীদ হতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়।ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনীতির কুশীলকরা যখন চক্রান্তে লিপ্ত তখন কর্মীরাই বলেছিলো নৌকা মানেই শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ।সেদিন সেই কর্মীদের বলিষ্ঠ কন্ঠে ধূলিসাৎ হয় চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্র।টুঙ্গিপাড়ার খোকার স্বপ্নের একটি রাষ্ট্র উন্মোচিত হবে সেটি কয়জন ভেবেছিলো।১৯৫৪ যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে সারাদেশের আনাচে কানাচে ভ্রমণকরে দেশের জন্য রাজনীতিতে জনগণকে উদ্ধজীবিত করেছিলেন যেই মানুষটি তার নাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।তখন তো অনেকেই জাতীয় নেতা ছিলেন কিন্তু কয়জন মানুষকে দেশের জন্য রাজনীতি করতে বলেছিলেন? কিন্তু একটি দেশের স্বপ্নের বীচ রোপন করে দিতে পেরেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৬৬,৬৭,৬৯,৭০ আন্দোলন ও নির্বাচনের একটিই উদ্দেশ্য ছিল লাল সবুজের পতাকা।যে স্বপ্নটি একজনই দেখিয়েছিলেন গোটা দেশবাসীকে তাকে ইতিহাস থেকে কিংবা মানুষের হৃদয় থেকে কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়।জনগনের নেতা হতে পারাটাই হচ্ছে রাজনীতিবীদ দের আসল সাফল্য।গত ২০ বছরে ঢাকার রাজনীতি তে কর্মীদের মনিকোঠায় স্থান করতে পেরেছে কয়জন নেতা? ছোট বেলায় একটি গল্প অনেক বেশি শুনেছি।কৌশরে সিনেমায় দেখেছি কিভাবে মানুষের ভালোবাসা পায় রবিনহুডরা।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট একটি মানুষের নাম।শুনেছি, জেনেছি,পড়েছি আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ইবলিশ শয়তান নবী করিম হযরত আদম (আঃ) কেও ভুল করিয়েছিলেন।সম্রাট তার ব্যক্তিগত জীবনে চলার পথে ভুল করতে ,সেটা স্বাভাবিক।মানুষ মাত্রই ভুল। রাজপথে দলীয় কর্মকাণ্ডে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কর্মীদের ভালোবেসে তাদের কে পরিবারের অংশ করতে তার কোন ভুল ছিলো না সেটি কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট জামাত বিএনপির আতংকের নাম।ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র রুখতে লক্ষ কর্মী নিয়ে যখন তখন মাঠে নামার যোগ্যতা তার আছে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সবুজ রং এ সারিবদ্ধ মিছিল আর দক্ষিণে কেউ করতে পারবে কি না সন্দীহান।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চোখের দৃষ্টি যতটুকু যেতো সম্রাটের মিছিল দেখা যেত।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগকে একটি শক্তিশালী সুশৃঙ্খল ইউনিটে রুপ দিয়েছেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।সম্রাট দলের জন্য ডেডিকেটে, এটি কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।তাহলে কেনো এই মানুষটির বিরুদ্ধে এতো ষড়যন্ত্র? বালিশ চোর এবং বিএনপির লোকমানেরা জামিন পেলেও অসুস্থ সম্রাটের জামিন হয় না।ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বুকে ২৩ বছর যাবৎ প্রেসমেকার মেশিন বসানো,তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নেয়া অতি জরুরি।সম্রাট পালানোর মত লোক না,আজ সে সিসিইউতে,এমতবস্থায় সে যদি মারা তাহলে অনেক রাজনীতি করার ইচ্ছে হারাবে,তাকে জামিন দিয়ে দেশের বাহিরে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হউক।
দলের জন্য সম্রাট একটি সম্পদ,নিজের জীবন দিয়ে হলেও দলের জন্য মাঠে সম্রাটরাই থাকবে।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই,রাজপথের সম্রাট ভাইয়ের মুক্তি চাই।
লেখকঃ ইসমাইল হোসাইন রায়হান
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,স্পেন শাখা
সাবেক সহ সম্পাদক,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ।