বানের জলে ভাসি ডুবি/শুনতে কি পাও আর্তনাদ/ বেঁচে থাকার জন্য মোরা চাই টেকসই বেড়িবাঁধ।
কৃষকের প্রাণের দাবি-নিরাপদ বেড়িবাঁধ চাই।’ ‘জোড়াতালির বাঁধ নয়-নিরাপদ বেড়িবাঁধ চাই।’ ‘ত্রাণ নয়,টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’এগুলো নিছক স্লোগান বা অন্য দশটা দাবির মতো সাধারণ কোনো দাবি নয়।এটি হচ্ছে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার দাবি,নূন্যতম সুযোগ সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকার দাবি। উপকূল আর উপকূলে বসবাসকারী মানবসন্তান,জীব-বৈচিত্র্য এবং সম্পদ রক্ষার দাবি। এসব দাবি পূরণ হতে পারে শুধুমাত্র একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণ করার মধ্য দিয়ে।
১২ই জুলাই রবিবার,ঘড়ির কাঁটা বিকেল ৪টার ঘর অতিক্রম করছে। শুরু হল ঝড়ো দমকা হাওয়া। তেড়ে ভারতের উজান ঢল।ডুবে গেল বসতভিটা, ভেঙে পড়ল ঘর। চোখের সামনেই বসত বাড়ি ভেঙ্গে চুরমার!পানিতে তলিয়ে গেল ৪/৫ টি গ্রাম!
প্রতিবছর এমন ভারতের উজান ঢলে পানি বন্দি হন পরশুরাম ফুলগাজী হাজার হাজার মানুষ ভেসে যায় মাছের প্রজেক্ট শাক সবজির বাগান নষ্ট হয় ফসলি জমি ভেঙ্গে যায় রাস্তা ঘাট পুল কালভার্ট ক্ষয়ক্ষতি হয় শত কোটি টাকা!
বার বার বাধ ভেঙ্গে যায় বার বার তার বাজেট হয় আর তা নামমাত্র সংস্কার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জনপ্রতিনিধি-ঠিকাদার ও কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তারা!
আর সাধারণ জনগণের এসব চেয়ে থাকা আর চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কিই বা করার আছে!
সর্বশেষ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী জনাব এনামুল হক শামীম ভাই এসে মুহুরী নদীর বাঁধ পরিদর্শন করে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়ার বছর পেরুলেও বেড়িবাঁধ নির্মাণ আজে দেখতে পায়নি পরশুরাম ফুলগাজীর জনগণ!
পরশুরাম ফুলগাজী উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের দাবী সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।
ফেসবুকের টাইম লাইন থেকে নাওয়া লেখেছেন ইয়াসিন আরাফাত রুবেল