গতকাল নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডবে গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন পুলিশ অফিসার কে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ও সম্মান হানির চেষ্টা।
কারোর চাচা, বা ভাই, বা নিকট আত্মীয় বড় অফিসার হলে সে সমাজে কিছু ফেবার পেয়ে থাকে এটা স্বাভাবিক। এই সুবিধা পাবার পিছনে কিছু পজিটিভ কারনও থাকে। সেই কারনটা এমন যে, তার মাধ্যমে অত্র এলাকার অনেকে উপকৃত হয়ে থাকে। ফলে সমাজে তার একটা প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ে। এটা আমাদের মত ছোট্ট একটা আমলাতান্ত্রিক দেশে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। উপকৃত হলে অবশ্যই তাদেরকে সম্মানের সাথে দেখা উচিৎ। তবেই একে অপরের জন্য ভুমিকা রাখতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে সকলে।
আবার এর উল্টো চিত্রও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে। নিকট আত্মীয় বড় অফিসার হবার কারনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। দাম্ভিকতা দেখায়। অনুচিতভাবে সুবিধা নিতে চায়। ফলে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে ভয়ে কিছু বলতে না পেরে মুখ বুঝে সহ্য করে থাকে । এটা এলাকার জন্য ক্ষতিকারক।
গতকাল গন্ডবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায় একটা বিষয় উঠে এসেছে, এক পক্ষের এক গ্রুপ নেতার চাচা একজন বড় পুলিশ অফিসার হওয়ায় উক্ত গ্রুপ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে এবং এই নৃশংস ঘটনায় আইনের সঠিক বিচার হবে না বলে অনেকেই আশংকা করছে। এমন আশংকা আমাদের জন্য বড় দুঃখজনক।
এলাকাবাসী বলেন এ ব্যাপারে সত্যটা উদঘাটন করা উচিৎ। সত্য উদঘাটন না করে এলাকার একজন বড় অফিসারকে জড়িয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে কোন মন্তব্য করাও উচিৎ হবে না । যদি তিনি জড়িত থাকেন, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শুধু মন্তব্য নয়, প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে হবে। আর যদি তিনি জড়িত না থাকেন, তাহলে যেমন ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে, তেমনি তিনিও সঠিকভাবে এলাকার এই ব্যাপারে ভুমিকা নিতে পারবেন।
এলাকাবাসী বলেন পুলিশের সেই বড় অফিসার আমাদের জেলার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজ জেলার লোকের জন্য তার দরজা সর্বদা খোলা থাকে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও এলাকার মানুষের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন। আমাদের বিশ্বাস, তিনি এলাকার এমন নোংরামির সাথে নিজেকে জড়াতে পারেন না এবং কখনও জড়াবেন না। যে লোক উওরা দুই কোটি পনের লক্ষ টাকা উদ্ধার করে মানব পাঁচারকারীদের হাত থেকে ৩০-৪০জন কে উদ্ধার করে এবং সকল কে তাদের টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করে দেন। যে লোক কখনো অন্যায় কে প্রশ্রয় দেন নাই সে লোক কি এখন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবেন এটা আমাদের প্রশ্ন সাংবাদিক ভাই দের কাছে
এ বিষয়ে পুলিশের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম ডিজিটাল বাংলাদেশ কে বলেন আমি কখনো অপরাধীকে সাহায্য করি না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান এবং তিনি আর ও বলেন আমি এ মামলার সুস্থ তদন্তের আহবান জানাই।
এলাকাবাসীরা আর ও বলেন,অতএব অনুমান করে নয়, প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করুন। সেই সাথে আমরা চাই, এই বর্বরোচিত ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের খুজে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং কোন নিরপরাধ মানুষকে যেন হয়রানি করা না হয়।এবং একজন ভালো মানুষের সম্মান হানিকরা না হয়।