কভিট ১৯ বা করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।বিশ্ব নেতারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেবারেই দিশেহারা।এদের অনেকে নিজেরাই আক্রান্ত।
গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে,লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।তারপরেও যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,স্পেন,ইতালি,ফ্রান্স,জার্মানী সহ উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে তাদের বিপর্যস্থ অর্থনীতির কথা চিন্তা করে ধীরে ধীরে লকডাউন খুলে দেয়ার পথে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ও এই প্রানঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।এই যুদ্ধের সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী,ডাক্তার নার্স,পুলিশ,আর্মি এবং সাংবাদিকদের আক্রান্তের সংখ্যাও উল্লেখ করার মত।
স্বস্থিদায়ক খবর হচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশ ভালো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়,মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হওয়া এই বাংলাদেশের
অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি এই করোনা তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে বেশি!
বাংলাদেশে দিনে এনে দিনে খায় এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি।মাসিক ১০-২০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করা লোকের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি।অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আছে যাদের প্রতিষ্ঠান ১ মাস বন্ধ থাকলে তাদের পুরো ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যাবে।একজন রিক্সা চালকের পক্ষে একদিনের বেশি পরিবার পরিজন নিয়ে বসে খাওয়া সম্ভব না।অনেক ছাত্রছাত্রী টিউশনি করে নিজের লেখা পড়ার খরচের পাশাপাশি সংসার চালায় তাদের কি অবস্থা একটু ভেবেছেন?
সরকার তো শুধু বিত্তবানদের কথা চিন্তা করে না, দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষ গুলোর কথা সরকারকে সবচেয়ে বেশি ভাবতে হচ্ছে।সরকার করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতিটি অন্চলে খাদ্যসামগ্রী পৌছানোর ব্যবস্থা করেছেন।কিন্তু এভাবে ত্রাণ সাহায্য দিয়ে কতদিন তাদের বাচিয়ে রাখা সম্ভব?কথায় আছে,বসে খেলে রাজার রাজ ভান্ডার ও নি:শেষ হয়ে যায়।
সমালোচনা করলে করাই যায়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহামারী প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রতিনিয়ত ভিডিও কনফারেন্সিং ছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তা বিশ্ববাসীও প্রশংসার চোখে দেখছেন।কেউ কেউ বলছেন এই করোনা যুদ্ধ মোকাবিলায় শেখ হাসিনাই বিশ্বে পাইওনিয়ার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) পর্যন্ত এখনো পরিষ্কার বলতে পারে নি এই করোনার তান্ডব থেকে বিশ্ব কবে নাগাদ মুক্ত হতে পারবে! যতদিন পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার না হবে ততদিন এই করোনার সাথে বসবাস করার অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া কোন বিকল্প দেখছি না।সতর্কতায় এখন একমাত্র প্রতিষেধক।
জীবন এবং জীবিকা একে অপরের পরিপূরক।জীবিকার জন্য লড়াই যেমন করতে হবে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সতর্কতাকে ধ্যান জ্ঞান হিসেবে মানতে হবে।আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলেই এই করনার দূর্যোগ থেকে নিজেদের বাচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
লেখক:শাহজাদা মহিউদ্দিন
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,চট্রগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ
সাবেক সহ সভাপতি,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
সাবেক পরিচালক,অগ্রণী ব্যাংক