করোনা ভাইরাস! বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত এবং ভয়ংকর একটি নাম।যা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ কে।মৃত্যুবরণ করেছে ১ লক্ষ ৭২ হাজারের অধিক।
শুরুর দিকে এই ক্ষুদ্র ভাইরাসটিকে, বিশ্বের অনেক দেশের জনগনই পাত্তা না দিলেও বর্তমানে এখন এর থেকে বাঁচতে অনেকেই সতর্ক।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং উন্নত দেশগুলো এই ভাইরাস কে মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে।সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও আটকাতে পারছে না আক্রান্তের সংখ্যা।ছোট হচ্ছে না মৃত্যুর মিছিলও।আক্রান্ত হচ্ছে ডাক্তার,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী,পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও।বাদ যাচ্ছে না সরকার প্রধানরাও!
করোনা ভাইরাসের জীন পরিবর্তনের কারনে এটি প্রতিরোধ করার মত মেডিসিন বানাতে হিমশিম খাচ্ছে বাঘা বাঘা দেশগুলোর কেমিস্টরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ সকল ডাক্তার পরামর্শ দিচ্ছে ঘরে থাকার।যে কটি দেশের জনগন এই নির্দেশ অমান্য করেছে তার প্রত্যেকটি দেশেই এই ভাইরাস ভালোভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের যে জনসংখ্যা এবং জনগনের যে অসচেতনতা,এটি করোনা ভাইরাসকে মহামারী রূপ দিতে সহায়তা করবে।লকডাউনের সময় মানুষের উপচে পড়া ভীড় সড়ক,রেল ও নৌ বন্দর গুলো তে।এটি সাধারনত ঈদের সময় দেখা যায় বাংলাদেশে।
এরপর গার্মেন্টস মালিকদের হঠাৎ সিদ্ধান্তে আবার শুরু হলো ঢাকা প্রবেশের মৌসুম! ড্রামের ভিতর ঢুকে গাড়ীতে চড়েছে অনেকে ঢাকার প্রবেশের জন্য!কেউ কেউ আবার ঢাকা থেকে বের হতে ব্যবহার করেছে পণ্যবাহী ট্রাক গুলোকেও!
তারপর বি বাড়িয়ায় মারামারি এবং হুজুরের জানাযায় লক্ষাধিক মানুষের ভীড় সত্যিই ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে আমাদের যা হয়ত এখনো আমরা বুজছি না।
আমরা যদি এখনো সচেতন না হই,পরিচ্ছন্ন না থাকি,বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হই তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।এটি তখন কেউ আটকাতে পারবে না।ডাক্তার নার্স,পুলিশ আর্মির অনেক সদস্য আক্রান্ত হচ্ছেন।এভাবে চলতে থাকলে আমরা চিকিৎসা দেয়ার মত লোক খুঁজে পাবো না আর কয়দিন পর।
পুরো দেশের দায়িত্ব আপনাকে নেওয়ার প্রয়োজন নেই,আপনি শুধু নিজের পরিবারের বা শুধু নিজের দায়িত্বটুকু নিন।দেশকে ভালো না বাসেন,সরকারকে ভালো না বাসেন,আপনি তো নিজেকে ভালোবাসেন?তবে সেই জন্য হলেও বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না।ঘনঘন হাত পরিষ্কার করুন,গরম পানি খান,ভিটামিন সি খান।নিজের জন্য নিজে বাঁচুন।
করোনা কে যদি এখনো বাংলাদেশের জনগণ অবহেলা করে তবে স্পেন ইতালিকে হারানো শুধু সময়ে ব্যাপার!
আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুক।
লেখক: ইসমাইল হোসেন রায়হান
সংবাদ কর্মী, স্পেন